টবি ক্যাডম্যানকে চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক নিয়োগ
এর পরপরই টবি ক্যাডম্যানের ল’ ফার্ম গার্নিকা ৩৭–এর এক্স হ্যান্ডল থেকে বিষয়টি নিয়ে তিনটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, এই চেম্বারের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের স্পেশাল প্রসিকিউটোরিয়াল অ্যাডভাইজার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁর ভূমিকা হবে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–সংক্রান্ত সব বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটরকে পরামর্শ দেওয়া। এই ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন ১৯৭৩–এর আলোকে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটা বস্তুত প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও অন্যান্য অপরাধের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাঁদের বিচার করার লক্ষ্যে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যখন একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছিল, সে সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পক্ষের আইনজীবী হিসেবে বাংলাদেশে আসতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান। তবে সে সময় তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এখন এই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান চলাকালে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে, তার বিচারপ্রক্রিয়া চলছে।
ছাত্র–জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এসেছিলেন টবি ক্যাডম্যান। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ওই সাক্ষাৎ হয়েছিল বলে বাসসের খবরে বলা হয়েছিল। এখন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার কথা জানালেন। অবশ্য এ বিষয়ে এখনো চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয় বা সরকারের সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য জানা যায়নি।